– স্যার, পৃথিবীর ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী আমরা তো আমেরিকার ঠিক বিপরীতে আছি। তাহলে, আমি চাইলে তো রাস্তার কোন এক ম্যানহোল ডোর দিয়ে ঢুকে মাটি খুঁড়তে খুঁড়তে আমেরিকার অারেক ম্যানহোল ডোর দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারবো। তাই না?
না, তুমি পারবা না। কারণ পৃথিবীর কেন্দ্র অনেক উত্তপ্ত।স্যার মনে করেন আমি যেতে পারলাম তাহলে কি হবে।তাহলে তুমি স্থির থাকতে পারবা না পেন্ডুলাম কিংবা সরল দোলকের মত হয় বাংলাদেশ না হয় আমেরিকা দুলতে থাকবা। তখন ট্রাম্প সাহেব তোমার চোদ্দগুষ্টিরে জেলে ঢুকাবে।
– আচ্ছা স্যার, মাইন্ড রিড করে কিভাবে? কিভাবে আমি মানুষের মনের কথা কিংবা সে কি চাই সেটা জানতে পারবো?মাইন্ড রিড করতে পারা একটা প্যারাসাইকোলজিক্যাল ব্যপার । বিজ্ঞানের ভাষায় যেটাকে টেলিপ্যাথি বলে। এটা আসলে আদৌ মানুষের পক্ষে সম্ভব হয়নি। তবে তুমি চাইলে প্রচুর সাধানার মাধ্যমে সঠিক অনুমানটা করতে পারো। তার জন্য তোমার সাবকন্সাস মাইন্ডকে একটিভ করা লাগবে।
নিয়মিত মেডিটেশন করে অবসারবেশন ক্ষমতা বাড়াতে হবে। কিছু কিছু সাইন দেখে বুঝতে হবে সামনের জন কি বলতে চাই কিংবা কি ভাবছে। যেমন, কেউ মুখ চুলকিয়ে কিছু বললে বুঝতে হবে সে মিথ্যে বলছে, হাসির সময় মানুষের চোক্ষুযুগল ছোট না হয়ে স্বাভাবিক থাকলে বুঝতে হবে তার হাসিটা ফেইক, হ্যান্ডশেইক করার সময় কেউ যদি আলতো করে হাত ধরে বুঝতে হবে সে নিজেকে তোমার চেয়ে স্মার্ট ভাবে, কেউ তোমার সাথে কথা বলার সময় পায়ের পজিশন অন্যদিকে থাকলে বুঝতে হবে সে তোমার কথায় ইন্টারেস্ট না, আর যদি তোমার কথায় ইন্টারেস্ট হয় তাহলে তোমার কথায় ঝুকে যাবে, এরকম অনেক সাইন আছে।
– স্যার, যেসব স্মৃতিগুলো মানুষকে কষ্ট দেয় সেগুলো মোবাইলের মতো করে ডিলিট করে দেয়া যায়না? যায়, তবে হুট করে ডিলিট করে দিতে পারবা না। এটা একটা পক্রিয়া। নিজেকে ব্যস্ত রেখে কিংবা কিছু একটা ভেবে নিজের মস্তিস্ককে সচল রাখার মাধ্যমে সম্ভব। বাই দ্য ওয়ে, তোমার কিসের আবার স্মৃতি? স্যার, কি বলবো ক্লাস সিক্সে একটা মেয়ের প্রেমে পড়েছিলাম প্রচন্ড রকমভাবে। তার বাবা বদলি হয়ে যাওয়াতে সে অন্য জায়গায় চলে যায়। তখন থেকে তাকে ভুলতে পারছিনা। প্রথম প্রেম বলে কথা। আরে প্রথম প্রেম টেম বলে কিচছু নাই। প্রতিটি প্রেমই প্রথম। এগুলো সব ব্রেইনে কেমিক্যাল রিয়েকশন ই মাত্র।
– আচ্ছা স্যার , আমাদের শরীরে দুটো হার্ট দেয়নি কেন তাহলে মানুষ একটা অচল হয়ে গেলে আরেকটা ব্যবহার করতে পারতো। আর, চোখ দুটো দিয়েছে ভালো, তো একটা সামনে একটা পেছনে দেয়নি কেন? তাহলে অন্তত আমরা বুঝতে পারতাম আমাদের পেছনে কে কি করে?
দেখ, বিধাতা যা দিয়েছে তা অনেক বুঝে শুনে দিয়েছে। তুমি হার্টের মেকানিজম দেখলে ভয় পেয়ে যাবা কি অদ্ভুত ভাবে কাজ করে সেটা। একটাই যথেষ্ট। আর অচল আমরা নিজেরাই করে ফেলি। আর, চোখের ক্ষেত্রে তুমি একই সময়ে দুইটা জিনিসে কখনো ফোকাস করতে পারবা না। ওইটা আমাদের ডাইমেনশনে নাই।
By_Md_Naim_Uddin