চেরি হল “প্রুনাস” গণের অন্তর্ভুক্ত এক প্রকার ফল ৷ বানিজ্যিকভাবে যে চেরির জাত চাষ করা হয় তা মূলত Prunus avium(প্রুনাস অভিয়াম)৷ বুনো চেরি ফসলি মাঠে চাষের অযোগ্য ৷ যদিও ব্রিটিশ দীপপুঞ্জতে Prunus avium কে বুনো চেরি বলা হয় ৷চেরি জাপানের ফল হলেও আমাদের দেশে চেরির ব্যাবহার অনেক আগে থেকেই।সরাসরি খাওয়ার জন্য বা অন্য খাবারকে সুন্দর করে সাজাতে লাল এই ফলের ব্যবহার চলছে সেই থেকেই।
দেখতে খুবই লোভনীয় আর স্বাদে অতুলনীয় হওয়ায় চেরির কদর অনেক। অসাধারণ পুষ্টিগুণে ভরা দর্শনধারী চেরিফল।
প্রতি ১০০ গ্রাম চেরিতে রয়েছে ৬৩ গ্রাম ক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট ১৬ গ্রাম, প্রোটিন ১ গ্রাম, ফোলেট ৪ গ্রাম, ভিটামিন সি ৭ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ ৬৪০ আইইউ, ভিটামিন কে ২ গ্রাম, পটাশিয়াম ২২২ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৩ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১১ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২১ মিলিগ্রাম।
চলুন জেনে নেই চেরি ফলের কিছু বিশেষ গুনাগুন-
১) চেরিতে থাকা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
২) দেহে থাকা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদরোগ কমাতেও চেরি ফল সাহায্য করে।
৩) চেরি ফল নিয়মিত খেলে রক্তের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে।
৪) চেরিতে থাকা মিলাটোনিন নামক উপাদান দেহের রক্ত চলাচলে সহায়তা করে।
৫) নিয়মিত চেরি খেলে ডায়বেটিক হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।
৬) চেরিতে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসার প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর।
৭) বাতের ব্যথা, মাথা ব্যথা ও মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে এই ফল সাহায্য করে।