সিঙ্গাপুরের একজন স্কুল প্রিন্সিপ্যাল পরীক্ষার আগে ছাত্রছাত্রীদের পিতামাতার কাছে এই চিঠিটি পাঠিয়েছিলেন। চলুন চিঠিটি পড়ে আসা যাক।
প্রিয় বাবা-মা,
আপনার বাচ্চার পরীক্ষা খুব তাড়াতাড়ি শুরু হয়ে যাবে।আমি জানি ,আপনারা সবাই খুব চিন্তিত আপনার বাচ্চার ভাল রেজাল্টের ব্যাপারে। কিন্তু আপনার কি জানা আছে? যে সকল ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দেয়ার জন্য বসবে, তাদের মাঝে একজন চিত্রশিল্পী আছে, যার গনিত বোঝার দরকার নেই। একজন উদ্যোক্তা আছে যার ইতিহাস বা সাহিত্য বোঝার দরকার নেই। সেখানে একজন মিউজিশিয়ানও আছে যার কাছে রসায়নের নম্বর কোন মূল্য বহন করে না। সেখানে একজন অ্যাথলেট আছে যার শারীরিক ফিটনেস পদার্থের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনার বাচ্চা সর্বচ্চ নম্বর পায়, তাহলে এটা চমৎকার ব্যপার। কিন্তু যদি সে না পায়… অনুগ্রহ করে তার আত্মবিশ্বাস এবং আত্মসম্মান কেড়ে নিবেন না। তাদেরকে বলুন এটা কোন ব্যাপারই না, এটা কেবল, শুধুমাত্র একটি পরীক্ষা। তারা এর চেয়ে আরও অনেক অনেক বড় কিছু উদ্ভাবন করবে… তাদেরকে বলুন , তারা যেমন রেজাল্টই করুকনা কেন তাতে আপনার ভালবাসা এতটুকু কমে যাবে না। আপনি তাদের ভালবাসেন এবং আপনি তাদের বন্ধু। বিচারক না… দয়া করে এই সহজ কাজটি করতে শুরু করুণ এবং আপনি যখন এটা করতে থাকবেন, দেখবেন আপানার সন্তান কিভাবে পুরো পৃথিবী জয় করে ফেলে… একটি পরীক্ষা বা কম নম্বর কখনই তাদের স্বপ্ন এবং মেধাকে হারিয়ে ফেলে না। এবং এটা ভাবার কোন কারন নেই যে, এই পৃথিবীতে কেবল ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়াররাই একমাত্র সুখি মানুষ …
উষ্ণ অভিনন্দন
অধ্যক্ষ
চিঠিটি যত বেশি সম্ভব শেয়ার করুণ। যেন পৃথিবীর প্রতিটি পিতামাতার কাছে এই উপলব্ধিটি পৌঁছে যায়। যেন আর কোন ছাত্র ছাত্রীকে কেবল মাত্র কিছু পরীক্ষায় খারাপ করার জন্য সারা জীবন নিজের কাছে অপরাধী হয়ে না থাকতে হয়। আমরা সত্যি চাইনা আর কোন প্রতিভার সামাজিক নিয়মের চাপে মৃত্যু ঘটুক।