এই মুহুর্তে বাংলাদেশে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়গুলো মধ্যে হলো, সাইবার হামলার আশঙ্কায় ব্যাংগুলো ও স্যোশাল মিডিয়ায় হ্যাক করে তথ্য নিয়ে যাওয়া। এছাড়াও অনেক বিষয় রয়েছে। কিন্তু একটু সচেতেন হলেই আমরা আমাদের স্যোশাল মিডিয়ার সাইটগুলো নিরাপদ রাখতে পারি।
বিশেষজ্ঞরা বলছে, এই ডিজিটাল বাংলাদেশে প্রায় সকলের কাছেই পৌছে যাচ্ছে স্মার্টফোন। আর সেই স্মার্টফোন থেকেই হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, টুইটার , ইউটিউব-ইনস্টাগ্রাম ও লিংকডইন-সবই ব্যবহার হয়। এখন ভাবুন এটি হ্যাক হয়ে গেলে হ্যাকারদের হাতের নাগালে চলে আসে অনেক গোপনীয় তথ্য। সেই সোশ্যাল মিডিয়াকেই কীভাবে হ্যাকার হানা থেকে নিরাপদে রাখবেন, জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের শেয়ার করা কিছু টিপস।
কঠিন পাসওয়ার্ড বাছাই করুন – বারংবারই অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা আরও জোরদার করার কথা বলে এসেছেন টেক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কী ভাবে সেই অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা বজায় রাখবেন? প্রথমত সহজে অনুমান করা যায় এমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না। মোটামুটি বড় নম্বর এবং বিশেষ চিহ্ন (@#$*) মিলিয়ে পাসওয়ার্ড দিতে হবে। আর যে কোনও সোশ্যাল মিডিয়া একই পাসওয়ার্ড দেওয়া ব্যবহার করা বন্ধ করুন।
টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন – অনলাইনে বিভিন্ন ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার জন্য দু’স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা বা টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করতে পারেন। এতে কোনও ভাবেই হ্যাক হবে না আপনার সোশ্যাল মিডিয়া। এই ফিচার চালু থাকলে নতুন কোনও ডিভাইস থেকে লগ ইন করার সময় পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি অ্যাকাউন্টে যুক্ত মোবাইল নম্বরে আসা ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) পাঠানো হয়। সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলের জন্য এই পদ্ধতি মেনে চলতে পারলে হ্যাকার হানা থেকে নিস্তার মিলবে।
ভালো ভাবে যাচাই করার পরই বন্ধুত্ব- সামাজিক মাধ্যমে বন্ধু নির্বাচনে সতর্কতা অবলম্বন করা খুবই জরুরি। কারণ কে কোন অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তা বোঝা যায় না। এছাড়াও হ্যাকারদের চরও ফাঁদ পেতে বসে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সুতরাং অপরিচিত কারও সঙ্গে বন্ধু পাতানোর আগে ভালো করে যাচাই করে নিতে হবে।
সন্দেহজনক লিংক এড়িয়ে চলুন – যদি ঘনিষ্ঠ কোনও বন্ধু বা ফেসবুকে কোনও বন্ধুর কাছ থেকে ইমেই বা ম্যাসেঞ্জারের কোনও বার্তা পান বা কোনও লিংক শেয়ার করা হয়, যা হয়তো তার স্বাভাবিক আচরণের সঙ্গে মেলে না, সবচেয়ে ভালো হবে সেটায় ক্লিক না করা বা সাড়া না দেওয়া।
আবেগের বশে অতিরিক্ত শেয়ার বন্ধ করুন – আবেগি হয়ে অতিরিক্ত পোস্ট শেয়ার করা যাবে না ফেসবুকে বা অন্য কোনও সোশ্যাল মাধ্যমে। আগে ভালোভাবে যাচাই করে, তারপরই তা শেয়ার করবেন।
রিকভারি ইমেল – অ্যাকাউন্ট রিকভারি অপশনে মোবাইল নম্বরের পরিবর্তে ইমেইল আইডিই ব্যবহার করা উচিত। এতে কোনও কারণে অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গেলেও ইমেইল মারফত তার নোটিফিকেশন চলে আসবে। এমনকী চাইলে দ্রুততম সময়ে তা ঠেকানোর সুযোগও পাওয়া যাবে।