একটি রেফ্রিজারেটর সার্ভিসিং এর জন্য অাসলে প্রথমত তার সমস্যা নির্ণয় করা জরুরী। অনেক বেশী অভিজ্ঞতা থাকলে গ্রাহকের নিকট হতে রেফ্রিজারেটরের বিবরণী শুনেই সমস্যা নির্ণয় করা যায়। কিন্তু রেফ্রিজারেটর সেকশনে একদমী নতুনদের ক্ষেত্রে তা অসম্ভব হয়ে পরে।তাই নিম্নোক্ত ধাপগুলো অনুসরন করলে একটি রেফ্রিজারেটরের সমস্যা নির্ণয় করা যাবেঃ
১ম ধাপঃ অামরা জানি রেফ্রিজারেটরের দুইটি সাইড রয়েছে (১) ইলেকট্রিক সাইড। (২)মেকানিক্যাল সাইড। একটি রেফ্রিজারেটর সার্ভিসিং এ অাসার পর দেখতে হবে তার ইলেকট্রিক সাইড সঠিক রয়েছে কিনা। যদি তা সঠিক না থাকে তবে তা মেরামত করতে হবে।
২য় ধাপঃ ইলেকট্রিক সাইড ঠিক হলে রেফ্রিজারেটরে পাওয়ার সাল্পাই করতে হবে এবং পর্যায়ক্রমে কম্প্রেসর চেক করতে হবে যে কম্পেসরে কোন সমস্যা রয়েছে কিনা। [পূর্বের দেয়া পোস্টে কম্পেসরের সমস্যা নির্ধারণের সনাতনী ও অাধুনিক পদ্ধতি দেয়া অাছে
৩য় ধাপঃ কম্প্রেসরের সমস্যা হলে তা মেরামত বা বাতিল করে নতুন কম্পেসর লাগাতে হবে। যদি কম্পেসরের সমস্যা না থাকে তবে কম্পেসর থেকে সাকশন ও ডিসচার্জ লাইন খুলতে হবে।অবশ্যই সাকশন ও ডিসচার্জ লাইন খোলার পর কম্প্রেসরের খোলা প্রান্ত গুলো অাটকাতে হবে যেন কম্প্রেসরের ভিতরে ময়লা প্রবেশ করতে না পারে।
৪র্থ ধাপঃ এরপর রেফ্রিজারেটরের সাকশন ও ডিসচার্জ লাইনে প্রেসার গেজ মিটার লাগাতে হবে এবং অালাদা কম্প্রেসর দ্বারা প্রেসার দিতে হবে। ২৪ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে এরপর প্রেসার চেক করে যদি কেবিনেট বা কন্ডেন্সার লিক থাকে তবে তা পরিবর্তন করতে হবে।
ইত্যাদি কারনে একটি রেফ্রিজারেটর ঠান্ডা হয় না।